আমরা ঘামি কেন?
আমরা ঘামি
কেন?
ঘাম
আমাদের শরীরের থার্মরেগুলেশন মেন্টেন করতে সাহায্য করে। থার্মরেগুলেশন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেটির মাধ্যমে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর তাপমাত্রা নির্দিষ্ট সীমার ভিতরে থাকে। আমাদের শরীরের তাপমাত্রার সীমা হচ্ছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
অথবা ৯৮.৬ ডিগ্রি
ফারেনহাইট এর আশেপাশে। এই
তাপমাত্রায় আমাদের শরীরের ভেতরে থাকা বিভিন্ন চালিকাশক্তি গুলো যেমন এনজাইম আর হরমোন সমূহ
সর্বোচ্চ ভালোভাবে তাদের কাজগুলো সম্পাদন করতে পারে। কেননা তাপমাত্রা হচ্ছে রাসায়নিক বিক্রিয়ার অন্যতম প্রধান এক নিয়ামক অথবা
প্রভাবক। সুতরাং বলা যায় আমাদের শরীরের জন্য থার্মরেগুলেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া।
খেয়াল
করুন গরমের দিনে অথবা আমরা যখন ব্যায়াম করি তখন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আমাদের ঘামগ্রন্থি ঘাম নিঃসরণ করা শুরু করে দেয়। আর ঘামের ভেতরে
থাকে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি।
বলা বাহুল্য পানি হল ভালো তাপ
শোষক। ঐ পানি আমাদের
শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে বাষ্পায়িত হয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা পুনরায় হ্রাস পেয়ে নির্দিষ্ট সীমার ভিতরে চলে আসে। এ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি
হলো শরীরের হোমিওস্ট্যাসিস (শরীরের যেকোন অস্বাভাবিক অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া)|
![]() |
| ঘামগ্রন্থি |
এটি
ছাড়াও আরেকটি কারণে শরীর ঘামে, আমরা যখন ব্যায়াম অথবা কোন ভারী কাজ করি তখন আমাদের শরীর কোষ গুলো খুব দ্রুত শক্তি উৎপন্ন করা শুরু করে কাজের অতিরিক্ত শক্তি জোগান দেওয়ার জন্য । এই শক্তি
উৎপাদন প্রক্রিয়াটি একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। একে আমরা শ্বসন বলি। এ রাসায়নিক বিক্রিয়ায়
উপজাত হিসেবে প্রচুর পরিমাণ পানি উৎপন্ন হয়। এই অতিরিক্ত
পানিগুলো তখন ঘাম আকারে আমাদের শরীর থেকে নির্গত হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন থার্মরেগুলেশন এবং হোমিওস্ট্যাসিস এই দুটি বিষয়ই
আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।


No comments